এবারে নলেন গুড়ও পাওয়া যাবে অনলাইনে। তবে ভাঁড়ে নয়, সুদৃশ্য টিউব প্যাকে বিশুদ্ধ ও সুস্বাদু নলেন গুড়। ১৫০ml গুড়ের মোড়কের গায়ে এমআরপি লেখা আছে ৮০ টাকা। ছাড় দিয়ে মিলবে ৬৪ টাকায়।বিক্রি করছে পশ্চিমবঙ্গ খাদ্য রসিক বাঙালি কে জানিয়ে দেওয়াই ভালো এই সুস্বাদু গুড় তৈরি আসল ঠিকানা টা।আজ্ঞে হ্যাঁ রাজ্য খাদ্য বোর্ডের অনুমোদিত এই শিল্প ইউনিটি নদিয়ায়। নলেন গুড়ের জন্য এখনকার যে গ্রামটি বিখ্যাত সেই মাজদিয়া সংলগ্ন ভাজনঘাট গ্রামে এই শিল্প ইউনিটি টি অবস্থিত।
রাজ্য খাদ্য ও গ্রামীণ শিল্প পর্ষদের বিপণন আধিকারিক প্রশান্ত সামন্ত বলেন,খাদি ও বিশ্ব বাংলায় বিভিন্ন স্টল এবং আমাদের কাছ থেকে পাইকারি ভাবে নেওয়া কিছু শপিং মল ও দোকানের কয়েক বছর থেকে এই টিউবের প্যাকে গুড় বিক্রি হচ্ছে। এবার এই গুড়ের প্যাক অনলাইনে বিক্রির ব্যবস্থা চালু করলাম আমরা। করুনার জন্য অনেকেই এখন আরো বেশি করে অনলাইনে কেনাকাটা করছেন। তাদের সুবিধা হবে।
কয়েক বছর আগে মাজদিয়া সংলগ্ন ভাজনঘাট গ্রামের অশোক হালদার ব্যক্তিগত উদ্যোগে নলেন গুড় ভোরে নতুন এই পন্থা আবিস্কার করে রাজ্যবাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। রাজ্যে খাদি ও গ্রামীণ শিল্প পরিষদের চেয়ারম্যান গৌরী শঙ্কর দত্ত কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা হয় তার নজরে পড়তে ওই বছরই গৌরীশংকর টিউব এর প্যাকেটের ব্যবস্থা করে দেন। এরপরে ২০১৮ সালে মুখ্যমন্ত্রী সরকারি সফরে নদিয়ায় এসে যে একগুচ্ছ প্রকল্প উদ্বোধন করেছিলেন তাতে এই ইউনিটটির নাম ছিল।
নলেন গুড় শিল্প ইউনিটির উদ্যোগে অশোক হালদার বর্তমানে কৃষ্ণগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচিত সভাপতি। তৃণমূলের স্থানীয় নেতা ও। তার ব্যস্ততার কারণে তার ছেলে রজত এই শিল্প ইউনিট দেখভাল করেন। রজত বলেন ভাজনঘাট, মাজদিয়া, গাজনা, কৃষ্ণগঞ্জ, স্বর্ণখালী সহ স্থানীয় কয়েকটি গ্রামের খেজুর গাছের রস চাষীদের কাছ থেকে আমাদের শিল্প ইউনিটি কে কিনে নেওয়া হয়। শীত জোরালো হতেই প্রতিদিন গড়ে আড়াইহাজার প্যাকেটগুলো উৎপন্ন হচ্ছে। রজতের দাবি, এই ঘুরে ভেজালের ভয় একদম নেই। আসল নলেন গুড় ঘ্রান মিলবে এতে খেতে আর সুস্বাদু। সব উৎপাদনই রাজ্য খাদি বোর্ডের কাছে তারা বিক্রি করে দেন বলে জানান তিনি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন